ঈদের ছুটির পর কঠোর বিধিনিষেধের তৃতীয় দিনেও রাজধানীতে ফেরা মানুষের ঢল ঢাকার প্রবেশমুখগুলোতে। পরিবহণ ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মাঠে থাকায় মানুষ গন্তব্যে ছুটছে পায়ে হেঁটেই। তাদের দাবি, চাকরি বাঁচাতে কিংবা চিকিৎসার মতো জরুরি প্রয়োজনেই বের হতে বাধ্য হয়েছেন তারা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসন বলছে, কঠোর বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।
পায়ে হাঁটা এসব মানুষের স্রোত রাজধানীমুখী। ঈদের ছুটি শেষের আগেই আবারো কঠোর বিধিনিষেধে বন্ধ গণপরিবহণ। তাই ঢাকায় ফেরার এই প্রাণান্ত চেষ্টা।
এক ব্যক্তি জানান, আজকে ঢাকা ফিরলাম ঈদের পর। মাঝে মাঝে পুলিশ চেকপোস্ট। তখন নেমে হেঁটে আসছি।
এক তরুণ বলেন, এখান থেকে হাঁটলাম ৫ কিলো'র মত। আমাদের ওইখানে হেঁটেছি ৩ কিলো। মোট ৮ কিলোমিটার হাঁটলাম।
ঈদের ছুটির পর রবিবার (২৫ জুলাই) খুলেছে ব্যাংক ও সেবাদানকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। তাই চাকরি বাঁচাতে অনেকেই ছুটছেন কর্মস্থলে।
এক নারী বলেন, কিলো বলে তো শেষ করতে পারবো না কত কিলো হাঁটা হয়েছে। প্রায় ৩০ মিনিট ধরে হাঁটছি। মাঝে মাঝে কিছু প্রাইভেটকার পাচ্ছি। রিস্ক নিয়ে উঠে যাচ্ছি। এখন আর কি করবো। চাকরি বাঁচাতে হলে তো যেতেই হবে।
এক যুবক বলেন, ৫ কিলোর মত হাঁটলাম। অনেক কষ্ট হচ্ছে আমার। কিছু করার নাই। ঢাকায় এসে কর্ম করে খেতে হবে।
করোনা মহামারির সংক্রমণ রোধে কঠোর বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে মাঠে শক্ত অবস্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
দারুস সালাম থানার ওসি (তদন্ত) মোহাম্মদ দুলাল হোসেন বলেন, 'ডাক্তার ও রোগী যারা আছেন তাদের কাগজপত্র আমরা দেখছি। উপযুক্ত হলে আমরা এলাউ করছি। আর যারা অহেতুক বের হচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
আছে প্রশাসনের কড়া নজরদারিও। ঢাকা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মইনুল হক জানান, 'অপ্রয়োজনীয় লোকের আনাগোনা কম। যারা তুচ্ছ প্রয়োজনে বের হচ্ছেন তাদের আমরা জরিমানার আওতায় এনেছি। তবে এ সংখ্যাটা খুবই নগন্য। জরিমানার পাশাপাশি তাদের সচেতনও করছি। জরিমানাটা আমাদের মুখ্য উদ্দেশ্য নয়। যারা একেবারে বেখেয়াল তাদের আমরা শাস্তির আওতায় আনছি।'
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী আসছে ৫ আগস্ট মধ্যরাত পর্যন্ত চলমান থাকবে এই কঠোর বিধিনিষেধ।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন